আজ তোমায় মনে পরে গেল।

১১:১৪ PM Posted In Edit This 0 Comments »
আমি আমার সাদা কালো ক্যানভাস এ শুধু রঙিন ছবি আকাঁর চেষ্টা করি... যতবার চেষ্টা করি;এই ভুলের বাস্তবতা তা নষ্ট করে দেয়...আমি আঁকা বন্ধ করে দিলাম... ক্যানভাস খালি পড়ে রইল...এরপর মনের সব ইচ্ছা, স্বপ্ন, ভালবাসা কবিতায় ভর্তি করলাম,তাও বাস্তবতা লিখতে দিলনা...আমি লেখা ছেড়ে দিলাম...অনেকদিন...অনেক মাস আমি পড়ে রইলাম ভাললাগা থেকে বহু দুরে...এরপর ও তোমাকে কাছের করে রাখা গেলনা...হয়ত কিছু ভালবাসা অনেক কিছু চাই... মাঝে মাঝে সব কিছু বিসর্জন দিয়েও ভালবাসাকে কাছের করে রাখা যায়না...........
আরও পড়ুন>>>>>

জীবন যেমন হয়।

৪:১৫ PM Posted In Edit This 0 Comments »
আমি জীবনকে জিগ্যেস করলাম
“ তুমি এত কঠিন কেন...??
জীবন হাসল আর বলল
“ তুমিতো সহজপ্রাপ্য জিনিস গুলো পছন্দ
করোনা!!”
আসলেই আমরা সহজে যা পাই তার প্রতি কেন যেন আকর্ষণ হারিয়ে ফেলি
আরও পড়ুন>>>>>

আজ: ১১.১১.১১ এবং আমার ঈদ-উল-আযহা।

১:৫৭ PM Posted In Edit This 0 Comments »
বিংশ শতাব্দির একটি সাজানো সংখার তারিখ, ১১ নভেম্বর, ২০১১। ফেসবুক এবং ব্লগে সূখি মানুষরা এটা নিয় চরম মাতামাতি করছে। খুশি হওয়ার দিনই বলা চলে। একশত বছর পরপর এইরকম একটা তারিখ আসে। মাত্র তিন দিন হল ঈদ-উল-আযহার। ০৭.১১.২০১১ ছিল পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। আমার মনে আছে ছোটবেলার কোন এক ঈদে চার টাকা পেয়ে নাচতে নাচতে ঈদগাহে চলে গিয়েছিলাম। মিস করি সেই দিনগুলোকে। চরম ভাবে মিস করি। ১৯৮৮ সালে আমার জন্মের পর ২০০৭ সাল পর্যন্ত আমার সময়গুলো ভালোই কেটেছে। না, না, শুধু ভালো না অন্নেক ভালো কেটেছে। আমার যতটুকু মনে আছে ২০০৪-২০০৭ সালের ঈদ গুলো আমার বেশী ভালো কেটেছে।

কিন্তু তার পরবর্তি একটা ঈদও অন্যসাধারন দিনের চেয়ে তেমন আলাদা মনে হয়নি। বরং ঝামেলা পূর্নই ছিল। সর্বশেষ ২০১১ এর ঈদটা বেশী খারাপ কেটেছে। একটুও ভালো লাগেনি। অন্যান্য ঈদে সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ি এবার তা করা হয়নি। সকাল সাড়ে আটটায় ঘুমথেকে উঠে গোছল করে ঈদের নামাজ পড়তে চলে গেলাম মা, দাদি আর আন্টিকে সালাম করে। নামাজ শেষে গরু কাটাকাটি করলাম। এটা অবশ্য একটু ভালো লেগেছিল। তারপর আমার প্রতিদিনের সঙ্গি রকিবের সাথে আড্ডা এবং ব্যাডমিন্টন খেলে রাত বারোটার দিকে বাসায় চলে আসি। এই ঈদটা ছিল আমার সবচেয়ে কম ভালো লাগার ঈদ। ১০.১১.১১ ঢাকায় চলে আসি। আর আজ সকাল থেকে নেটে সময় কাটাচ্ছি। সারাদিন তাই করবো। কিছুই ভালো লাগছেনা।

আরও পড়ুন>>>>>

কত পথ রয়েছে বাকি

১২:১৭ AM Posted In Edit This 0 Comments »
সূর্য হেলে পশ্চিমে দোলে। বয়স আমার দুপুর ছুইছুই। কিন্তু আমার দেখা হয়নি কিছুই। সুণিলের মত বলতে গেলে সেই রায়ের গুলি, সেই লাঠি লজেন্স আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা। সফলদের দেখলে খুবই ভালো লাগে কিন্তু ব্যার্থতার ঘোলাটে আলোয় আমি হারিয়েছি পথ। ফিরে আসার চরম ইচ্ছে আছে কিন্তু মহাকর্ষ বলের মত কিছু একটা সবসময় আকর্ষন করে আছে। আমার আর ফেরা হয়না।


উপরের লাইনগুলো খুব কঠিন করে লেখা। যেহেতু আমাকে নিয়ে নজরুল কিংবা রবীন্দ্রনাথের মত গবেষনা হবে না তাই নিজেই সহজ করে দিচ্ছি।....... আমার আজ বলতে দ্বিধা নাই। আমি খুব পিছনের সারির মানুষ। সফলতা সবার জন্য সোনার হরিণ কিন্তু আমার জন্য মরিচিকা। চেষ্টা না করে কিংবা অনেক চেষ্টা করেও কখনো সফল হতে পারি নাই। সমস্যাটা আমার খুব বেশি প্রকট। স্বিদ্ধান্ত বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ যা আমাকে দিয়ে হয়না।
কচ্ছপরা দৌড়ে জিতে কারন সে বদ্ধ পরি কর। কচ্ছপে আরকটা স্বভাবের কথা বলি... কচ্ছপ কাউকে কামর দিয়ে মুখ ও মাথা তার খোলসের মধ্যে ডুকিয়ে নেয়। তারপর বাইরে থেকে যতই চেষ্টা করুন কোন লাভ নাই সে তার মাথা বের করবেনা। আমাকেও কচ্ছপের মত হতে হবে। আমার কাজগুলো নিয়ে এই রকম হতে হবে। আর ভাল লাগার কাজটি খোজে নিতে হবে।
আরও পড়ুন>>>>>

ভালোবাসার কাজটি খুঁজে নিতে হবে — স্টিভ জবস

৩:৫০ PM Posted In Edit This 0 Comments »
বক্তৃতাটি হয়ত অনেকেই বিভিন্ন এর আগে পড়েছেন। ২০০৫ সালে তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে আমন্ত্রিত হন। ঐ অনুষ্ঠানে তার দেয়া বক্তৃতাটি ছিলো অসাধারণ একটি বক্তৃতা।

পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি। আমি কখনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করিনি। সত্যি কথা বলতে কি, আজকেই আমি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান সবচেয়ে কাছ থেকে দেখছি। আজ আমি তোমাদেরকে আমার জীবনের তিনটি গল্প বলবো। তেমন আহামরী কিছু না। শুধু তিনটা গল্প।



প্রথম গল্পটি কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা এক সূতোয় বাঁধা নিয়ে

রিড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার ছয় মাসের মাথায় আমি মোটামুটি পড়ালেখা ছেড়ে দিই। অবশ্য পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেয়ার আগে প্রায় বছর দেড়েক এটা সেটা কোর্স নিয়ে কোনমতে লেগেছিলাম। তো কেন আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিয়েছিলাম?

ঘটনার শুরু আমার জন্মের আগে থেকে। আমার আসল মা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অবিবাহিতা তরুণী গ্রাজুয়েট ছাত্রী। আমার জন্মের আগে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন আমাকে কারো কাছে দত্তক দিবেন। মা খুব চাচ্ছিলেন আমাকে যারা দত্তক নিবেন তাদের যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী থাকে। তো একজন আইনজীবি এবং তাঁর স্ত্রী আমাকে দত্তক নেওয়ার জন্য রাজি হলো। কিন্তু আমার জন্মের পর তাঁদের মনে হলো তাঁরা আসলে একটা কন্যা শিশু চাচ্ছিলেন। অতএব আমার বর্তমান বাবা-মা, যারা অপেক্ষমাণ তালিকাতে ছিলেন, গভীর রাতে একটা ফোন পেলেন – “আমাদের একটা অপ্রত্যাশিত ছেলে শিশু আছে, আপনারা ওকে নিতে চান?” “অবশ্যই!” – আমার বাবা-মা’র তড়িৎ উত্তর। আমার আসল মা পরে জানতে পেরেছিলেন যে আমার নতুন মা কখনো বিশ্ববিদ্যালয় আর নতুন বাবা কখনো হাই স্কুলের গন্ডি পেরোননি। তিনি দত্তক নেবার কাগজপত্র সই করতে রাজী হননি। কয়েক মাস পরে অবশ্য তিনি রাজী হয়েছিলেন, আমার নতুন বাবা-মা এই প্রতিজ্ঞা করার পর যে তারা একদিন আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন।

১৭ বছর পর আমি সত্যি সত্যি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি বোকার মতো প্রায় স্ট্যানফোর্ডের সমান খরচের একটা বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিয়েছিলাম। এবং আমার নিম্ন মধ্যবিত্ত পিতামাতার সব জমানো টাকা আমার পড়ালেখার খরচের পেছনে চলে যাচ্ছিলো। ছয় মাস এভাবে যাওয়ার পর আমি এর কোন মানে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। জীবনে কী করতে চাই সে ব্যাপারে আমার তখনো কোন ধারণা ছিলোনা, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা এ ব্যাপারে কিভাবে সাহায্য করবে সেটাও আমি বুঝতে পারছিলাম না। অথচ আমি আমার বাবা-মা’র সারা জীবনের জমানো সব টাকা এর পেছনে দিয়ে দিচ্ছিলাম। তাই আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং আশা করলাম যে সবকিছু আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। ওই সময়ের প্রেক্ষিতে এটা একটা ভয়াবহ সিদ্ধান্ত মনে হতে পারে, কিন্তু এখন পেছন ফিরে তাকালে মনে হয় এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা সিদ্ধান্ত ছিলো। যেই মুহুর্তে আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিলাম সেই মুহুর্ত থেকে আমি আমার অপছন্দের অথচ ডিগ্রীর জন্য দরকারী কোর্সগুলো নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারলাম, এবং আমার পছন্দের কোর্সগুলো নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়ে গেলো।

অবশ্য ব্যাপারটি অতোটা সুখকর ছিলোনা। ছাত্রহলে আমার কোন রুম ছিলোনা, তাই আমি আমার বন্ধুদের রুমে ফ্লোরে ঘুমাতাম। ব্যবহৃত কোকের বোতল ফেরত দিয়ে আমি পাঁচ সেন্ট করে পেতাম (প্রতি বোতল) যেটা দিয়ে আমি আমার খাবার কিনতাম। প্রতি রবিবার আমি সাত মাইল হেঁটে শহরের অপর প্রান্তে অবস্থিত হরে কৃষ্ণ মন্দিরে যেতাম শুধুমাত্র একবেলা ভালো খাবার খাওয়ার জন্য। কিন্তু আমি এটাকে পছন্দ করতাম। আমার কৌতুহল এবং ইনটুইশন অনুসরণ করে আমার জীবনে আমি যতোকিছু করেছি পরবর্তীতে সেটাই আমার কাছে মহামূল্যবান হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। একটা উদাহরণ দিইঃ সেই সময় রীড কলেজ সম্ভবত দেশের সেরা ক্যালিগ্রাফী কোর্সগুলো করাতো। ক্যাম্পাসের প্রত্যেকটি পোস্টার, প্রতিটি লেবেল করা হতো হাতে করা ক্যালিগ্রাফী দিয়ে। যেহেতু আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম না, তাই আমি যেকোনো কোর্স নিতে পারতাম। তাই ভাবলাম ক্যালিগ্রাফী কোর্স নিয়ে ক্যালিগ্রাফী শিখবো। আমি সেরিফ এবং স্যান সেরিফ টাইপফেইস শিখলাম, বিভিন্ন অক্ষরের মধ্যে স্পেস কমানো বাড়ানো শিখলাম, ভালো টাইপোগ্রাফী কিভাবে করতে হয় সেটা শিখলাম। ব্যাপারটা ছিলো দারুণ সুন্দর, ঐতিহাসিক, বিজ্ঞানের ধরাছোঁয়ার বাইরের একটা আর্ট। এবং এটা আমাকে বেশ আকর্ষণ করতো।

এই ক্যালিগ্রাফী জিনিসটা কখনো কোনো কাজে আসবে এটা আমি কখনো ভাবিনি। কিন্তু, দশ বছর পর যখন আমরা আমাদের প্রথম ম্যাকিন্টস কম্পিউটার ডিজাইন করি তখন এর পুরো ব্যাপারটাই আমাদের কাজে লেগেছিলো। ম্যাক কম্পিটার টাইপোগ্রাফী সমৃদ্ধ প্রথম কম্পিটার। আমি যদি দশ বছর আগে সেই ক্যালিগ্রাফী কোর্সটা না নিতাম তাহলে ম্যাক কম্পিউটারে কখনো মাল্টিপল টাইপফেইস এবং আনুপাতিক দূরত্বের ফন্ট থাকতো না। আর যেহেতু উইন্ডোজ ম্যাক এর এই ফন্ট নকল করেছে, বলা যায় কোনো কম্পিউটারেই এই ধরণের ফন্ট থাকতো না। আমি যদি বিশ্ববিদ্যালয় না ছাড়তাম তাহলে আমি কখনোই ওই ক্যালিগ্রাফী কোর্সে ভর্তি হতাম না, এবং কম্পিউটারে হয়তো কখনো এতো সুন্দর ফন্ট থাকতো না। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় এই সব বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে এক সুতোয় বাঁধা অসম্ভব ছিলো, কিন্তু দশ বছর পর সবকিছু একেবারে পরিস্কার বোঝা গিয়েছিলো!

তুমি কখনোই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে এক সূতায় বাঁধতে পারবেনা। এটা শুধুমাত্র পেছনে তাকিয়েই সম্ভব। অতএব, তোমাকে বিশ্বাস করতেই হবে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো একসময় একটা ভালো পরিণামের দিকে যাবে ভবিষ্যতে। তোমাকে কিছু না কিছুর উপর বিশ্বাস করতেই হবে – তোমার মন, ভাগ্য, জীবন, কর্ম, কিছু একটা। এই বিশ্বাস আমাকে কখনোই ব্যর্থ করে দেয়নি, বরং আমার জীবনের সব বড় অর্জনে বিশাল ভুমিকা রেখেছে।

আমার দ্বিতীয় গল্পটি ভালোবাসা আর হারানো নিয়ে।

আমি সৌভাগ্যবান ছিলাম। আমি আমার জীবনের প্রথম দিকেই আমার ভালোবাসার কাজ খুঁজে পেয়েছিলাম। ওজ আর আমি আমার বাবা-মা’র বাড়ির গ্যারেজে অ্যাপল কোম্পানী শুরু করেছিলাম। তখন আমার বয়স ছিলো ২০ বছর। আমরা কঠিন পরিশ্রম করেছিলাম – ১০ বছরের মাথায় অ্যাপল কম্পিউটার গ্যারেজের ২ জনের কম্পানী থেকে ৪০০০ এম্পলয়ীর ২ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানীতে পরিণত হয়। আমার বয়স যখন ৩০ হয় তার অল্প কিছুদিন আগে আমরা আমাদের সেরা কম্পিউটার – ম্যাকিন্টস – বাজারে ছাড়ি। আর ঠিক তখনি আমার চাকরি চলে যায়। কিভাবে একজন তার নিজের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানী থেকে চাকরিচ্যুত হয়? ব্যাপারটি এমনঃ অ্যাপল যখন অনেক বড়ো হতে লাগলো তখন আমি কোম্পানীটি খুব ভালোভাবে চালাতে পারবে এমন একজনকে নিয়োগ দিলাম। প্রথম বছর সবকিছু ভালোভাবেই গেলো। কিন্তু এরপর তার সাথে আমার চিন্তাভাবনার বিভাজন স্পষ্ট হওয়া শুরু হলো। এবং পরিচালনা পর্ষদ তার পক্ষ নিলো। অতএব, ৩০ বছর বয়সে আমি কোম্পানী থেকে আউট হয়ে গেলাম। এবং খুব ভালোভাবে আউট হলাম। আমার সারা জীবনের স্বপ্ন এক নিমিষে আমার হাতছাড়া হয়ে গেলো। ঘটনাটা আমাকে বেশ ভেঙ্গে দিয়েছিলো।

এরপরের কয়েক মাস আমি বুঝতে পারছিলাম না আমি কী করবো। আমার মনে হচ্ছিলো আমি আগের প্রজন্মের উদ্যোগতাদের মনোবল ভেঙ্গে দিয়েছি – আমার হাতে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা আমি করতে পারিনি। আমি ডেভিড প্যাকার্ড এবং বব নয়েস এর সাথে দেখা করে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইলাম। একবার ভাবলাম ভ্যালী ছেড়ে পালিয়ে যাই। কিন্তু ধীরে ধীরে আমি একটা ব্যাপার অনুভব করতে লাগলাম – আমি আমার কাজকে এখনো ভালোবাসি! এপলের ঘটনাগুলি সেই সত্যকে এতোটুকু বদলাতে পারেনি। আমাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, কিন্তু আমি এখনো আমার কাজকে ভালোবাসি। তাই আমি আবার একেবারে গোড়া থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিলাম।

প্রথমে এটা তেমন মনে হয়নি, কিন্তু পরে আবিষ্কার করলাম অ্যাপল থেকে চাকরিচ্যুত হওয়াটা ছিলো আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো ঘটনা। সফল হবার ভার চলে যেয়ে আমি তখন নতুন করে শুরু করলাম। কোন চাপ নেই, সবকিছু সম্পর্কে আগের চেয়ে কম নিশ্চিত। ভারমুক্ত হয়ে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে সৃজনশীল সময়ে যাত্রা শুরু করলাম।

পরবর্তী পাঁচ বছরে আমি নেক্সট এবং পিক্সার নামে দুটো কম্পানী শুরু করি, আর প্রেমে পড়ি এক অসাধারণ মেয়ের যাকে আমি পরে বিয়ে করি। পিক্সার থেকে আমরা পৃথিবীর প্রথম এনিমেশন ছবি “টয় স্টোরী” তৈরি করি। পিক্সার বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে সফল এনিমেশন স্টুডিও। এরপর ঘটে কিছু চমকপ্রদ ঘটনা। অ্যাপল নেক্সটকে কিনে নেয় এবং আমি অ্যাপল এ ফিরে আসি। এবং নেক্সটএ আমরা যে প্রযুক্তি তৈরি করি সেটা এখন অ্যাপল এর বর্তমান ব্যবসার একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে। অন্যদিকে লরেন আর আমি মিলে তৈরি করি একটা সুখী পরিবার।

আমি মোটামুটি নিশ্চিত এগুলোর কিছুই ঘটতো না যদি না আমি অ্যাপল থেকে চাকরিচ্যুত হতাম। এটা ছিলো খুব তেতো একটা ওষুধ আমার জন্য, কিন্তু আমার মনে হয় রোগীর সেটা দরকার ছিলো। কখনো কখনো জীবন তোমাকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে। তখন বিশ্বাস হারিয়ো না। আমি নিশ্চিত যে জিনিসটা আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো সেটা হচ্ছে – আমি আমার কাজকে ভালোবাসতাম। তোমাকে অবশ্যই তোমার ভালবাসার কাজটি খুঁজে পেতে হবে। তোমার ভালোবাসার মানুষটিকে যেভাবে তোমার খুঁজে পেতে হয়, ভালোবাসার কাজটিকেও তোমার সেভাবে খুঁজে পেতে হবে। তোমার জীবনের একটা বিরাট অংশ জুড়ে থাকবে তোমার কাজ, তাই জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে চমৎকার কোনো কাজ করা। আর কোনো কাজ তখনি চমৎকার হবে যখন তুমি তোমার কাজকে ভালোবাসবে। যদি এখনো তোমার ভালোবাসার কাজ খুঁজে না পাও তাহলে খুঁজতে থাকো। অন্য কোথাও স্থায়ী হয়ে যেওনা। তোমার মন আর সব জিনিসের মতোই তোমাকে জানিয়ে দিবে যখন তুমি তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পাবে। যে কোনো সম্পর্কের মতোই, তোমার কাজটি যতো সময় যাবে ততোই ভালো লাগবে। সুতরাং খুঁজতে থাকো যতক্ষন না ভালোবাসার কাজটি পাচ্ছো। অন্য কোন কাজে স্থায়ী হয়ো না।

আমার শেষ গল্পটি মৃত্যু নিয়ে।

আমার বয়স যখন ১৭ ছিলো তখন আমি একটা উদ্ধৃতি পড়েছিলামঃ “তুমি যদি প্রতিটি দিন এটা ভেবে পার কর যে আজই তোমার জীবনের শেষ দিন, তাহলে একদিন তুমি সত্যি সঠিক হবে”। এই লাইনটা আমার মনে গভীর রেখাপাত করেছিলো, এবং সেই থেকে গত ৩৩ বছর আমি প্রতিদিন সকালে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করি – “আজ যদি আমার জীবনের শেষ দিন হতো তাহলে আমি কি যা যা করতে যাচ্ছি আজ তাই করতাম, নাকি অন্য কিছু করতাম?” যখনি এই প্রশ্নের উত্তর “না” হতো পরপর বেশ কিছু দিন, আমি জানতাম আমার কিছু একটা পরিবর্তন করতে হবে।

“আমি একদিন মরে যাবো” – এই কথাটা মাথায় রাখা আমার জীবনে আমাকে বড় বড় সব সিদ্ধান্ত নিতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে। কারণ সবকিছু – সকল আশা-প্রত্যাশা, গর্ব, ব্যর্থতার ভয় বা লজ্জা – এইসব কিছু মৃত্যুর মুখে নাই হয়ে যায়, শুধুমাত্র সত্যিকারের গুরুত্মপূর্ণ জিনিসগুলোই টিকে থাকে। তোমার কিছু হারানোর আছে এই চিন্তা দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে এটা মনে রাখা যে একদিন তুমি মরে যাবে। তুমি নগ্ন হয়েই আছো। অতএব নিজের মনকে না শোনার কোনো কারণই নাই। প্রায় এক বছর আগে আমার ক্যান্সার ধরা পড়ে। সকাল ৭:৩০ এ আমার একটা স্ক্যান হয় এবং এতে পরিস্কারভাবে আমার প্যানক্রিয়াসএ একটা টিউমার দেখা যায়। আমি তখনো জানতাম না প্যানক্রিয়াস জিনিসটা কী। আমার ডাক্তাররা বললেন এই ক্যান্সার প্রায় নিশ্চিতভাবে অনারোগ্য, এবং আমার আয়ু আর তিন থেকে ছয় মাস আছে। আমার ডাক্তার আমাকে বাসায় ফিরে যেয়ে সব ঠিকঠাক করতে বললেন। সোজা কথায় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হওয়া।

এরমানে হচ্ছে তুমি তোমার সন্তানদের আগামী দশ বছরে যা বলবে বলে ঠিক করেছো তা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বলতে হবে। এরমানে হচ্ছে সবকিছু গোছগাছ করে রাখা যাতে তোমার পরিবারের সবার জন্য ব্যাপারটি যথাসম্ভব কম বেদনাদায়ক হয়। এরমানে হচ্ছে সবার থেকে বিদায় নিয়ে নেওয়া।

এভাবে সেদিন সারাদিন গেলো। সেদিন সন্ধ্যায় আমার একটা বায়োপসি হলো। তারা আমার গলার ভেতর দিয়ে একটা এন্ডোস্কোপ নামিয়ে দিলো, এরপর আমার পেটের ভেতর দিয়ে যেয়ে আমার ইনটেস্টাইন থেকে সুঁই দিয়ে কিছু কোষ নিয়ে আসলো। আমাকে অজ্ঞান করে রেখেছিলো তাই আমি কিছুই দেখিনি। কিন্তু আমার স্ত্রী পরে আমাকে বলেছিলো যে আমার ডাক্তাররা যখন এন্ডোস্কোপি থেকে পাওয়া কোষগুলি মাইক্রোস্কোপ এর নিচে রেখে পরীক্ষা করা শুরু করলো তখন তারা প্রায় কাঁদতে শুরু করেছিলো, কারণ আমার যে ধরণের প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার হয়েছিলো সেটার আসলে সার্জারীর মাধ্যমে চিকিৎসা সম্ভব। আমার সেই সার্জারী হয়েছিলো এবং এখন আমি সুস্থ্য।

এটাই আমার মৃত্যুর সবচেয়ে কাছাকাছি যাওয়া, এবং আমি আশা করি আরো কয়েক দশকের জন্যও এটা তাই যেনো হয়। মৃত্যুর খুব কাছাকাছি যাওয়ার এই বাস্তব অভিজ্ঞতার কারণে মৃত্যু সম্পর্কে এখন আমি অনেক বেশি জানি, যেটা আমি জানতাম না যদি না এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে না যেতামঃ কেউই মরতে চায় না। এমনকি যারা বেহেশতে যেতে চায়, তারাও সেখানে যাওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি মরে যেতে চায় না। কিন্তু এরপরও মৃত্যুই আমাদের সবার গন্তব্য। কেউই কখনো এটা থেকে পালাতে পারেনি। এবং সেটাই হওয়া উচিৎ, কারণ মৃত্যু সম্ভবত জীবনের সবচেয়ে বড় আবিস্কার। এটা জীবনের পরিবর্তনের এজেন্ট। মৃত্যু পুরনোকে ধুয়ে মুছে নতুনের জন্য জায়গা করে দেয়। এই মুহুর্তে তোমরা হচ্ছো নতুন, কিন্তু খুব বেশিদিন দূরে নয় যেদিন তোমরা পুরনো হয়ে যাবে এবং তোমাদেরও ধুয়ে মুছে ফেলা হবে। নাটকীয়ভাবে বলার জন্য দুঃখিত, কিন্তু এটা খুবই সত্যি।

তোমাদের সময় সীমিত, অতএব, অন্য কারো জীবন যাপন করে সময় নষ্ট করো না। কোনো মতবাদের ফাঁদে পড়ো না, অর্থ্যাৎ অন্য কারো চিন্তা-ভাবনা দিয়ে নিজের জীবন চালিয়ো না। তোমার নিজের ভেতরের কন্ঠকে অন্যদের চিন্তা-ভাবনার কাছে আটকাতে দিও না। আর সবচেয়ে বড় কথাঃ নিজের মন আর ইনটুইশন এর কথা শোনার সাহস রাখবে। ওরা ঠিকই জানে তুমি আসলে কি হতে চাও। বাকী সব কিছু ততোটা গুরুত্মপূর্ণ নয়।

আমি যখন তরুণ ছিলাম তখন একটা পত্রিকা বের হতো যার নাম ছিলো “The Whole Earth Catalog” (সারা পৃথিবীর ক্যাটালগ). এটা ছিলো আমার প্রজন্মের একটা বাইবেল। এটা বের করেছিলেন স্টুয়ার্ড ব্র্যান্ড নামে এক ভদ্রলোক যিনি মেনলো পার্কের কাছেই থাকতেন। তিনি পত্রিকাটিকে কাব্যময়তা দিয়ে জীবন্ত করে তুলেছিলেন। এটা ছিলো ষাট এর দশকের শেষ দিককার কথা – কম্পিউটার এবং ডেস্কটপ পাবলিশিং তখনো শুরু হয়নি। তাই পত্রিকাটি বানানো হতো টাইপরাইটার, কাঁচি, এবং পোলারয়েড ক্যামেরা দিয়ে। পত্রিকাটিকে ৩৫ বছর আগের পেপারব্যাক গুগল বলা যায়ঃ অনেক তত্ত্ব-তথ্যে সমৃদ্ধ আর মহৎ উদ্দেশ্যে নিবেদিত।

স্টুয়ার্ট এবং তার টিম পত্রিকাটির অনেকগুলি সংখ্যা বের করেছিলো। পত্রিকাটির জীবন শেষ হয় একটা সমাপ্তি সংখ্যা দিয়ে। এটা ছিলো সত্তর এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, আমার বয়স ছিলো তোমাদের বয়সের কাছাকাছি। সমাপ্তি সংখ্যার শেষ পাতায় একটা ভোরের ছবি ছিলো। তার নিচে ছিলো এই কথাগুলিঃ “ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো”। এটা ছিলো তাদের বিদায় বার্তা। ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো। এবং আমি নিজেও সবসময় এটা মেনে চলার চেষ্টা করে এসেছি। এবং আজ তোমরা যখন পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি ছেড়ে আরো বড় জীবনের গন্ডিতে প্রবেশ করছো, আমি তোমাদেরকেও এটা মেনে চলার আহবান জানাচ্ছি।

ক্ষুধার্ত থেকো। বোকা থেকো।
তোমাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন>>>>>

আমার ২৩তম জন্মদিন.....

১১:১৬ PM Posted In Edit This 0 Comments »
২৪ শে আগাষ্ট আমার ২৩ তম জন্মদিন চলে গেল। হাটি হাটি পা পা করে ২২টি বছর পার করে দিলাম।২৩ তম জন্মদিনটি বেশ অন্য রকম ছিল। কিছু দিন ধরে খুব খারাপ সময় কাটতে ছিল। তাই এই দিনটায় বাসা থেকে বের হইনি। তবে ফেসবুক, টেক্সট, ফোন এবং ইমেইলে অনেকে উইশ করেছে। এবারই এত বেশী উইশ পেয়েছি। খুব ভালো লেগেছিল। কিছু কিছু মানুষের সাথে কথা বলে মন খুব ভাল হয়ে গিয়েছিল। 
আরও পড়ুন>>>>>

আমাকে নিয়ে কিছু কথা

১০:৩৮ AM Posted In Edit This 0 Comments »
আমি খুবই সাধারন একজন মানুষ। নিজেকে হারিয়ে ফেলি সব সময়। আমি সত্যিই কিছু বুঝিনা। এখনো জুতোর ফিতে বাধতে পারিনা। বাজারে গেলে বুঝতে পারিনা কি কিনব। ভার্সিটি যাওয়ার সময় প্রতিদিন ভাবতে হয় আজ কোন বাসে যাব। আমি স্বিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আমার মনে হয় সবাই আমাকে অপছন্দ করে। মনেমনে অজানা আশঙ্কা সবসময় লেগেই থাকে। নিজের প্রতি একটুও বিশ্বাস খুজে পাই না। তবুও বড় হবার প্রবল একটা ইচ্ছা আছে। আমার নাম মো: আল আমিন। জীবনে অনেক জায়গায় অনেক নাম ইউজ করেছি। কিন্তু এটাই আমার আসল নাম। মতলব উত্তর উপজেলার চাঁদপুরে আমার জন্ম।
আরও পড়ুন>>>>>

দাড়ি পরে যায় প্রতিটা গল্পের শুরুতে।।।।।।

১:০৩ PM Posted In Edit This 0 Comments »
মানুষের সব দিন সমান বা একই ভাবে কাটে না। কখনো ভাল কখনো বা খুবই খারাপ। আমি জানি সব সময় ভালো দিন কাটে না। আমার ও তেমনি। তবে বেশির ভাগই আমি খারাপ সময়ই কাটাই। মানুষের জীবন থেকে যদি কিছু সময় মুছে ফেলা যেত তবে আমি আমার গত তিনটা বছর মুছে দিতাম। তারপর সাথে সাথেই রিসাইকেল বিনটাও এম্পটি করে দিতাম।অথবা সিফ্ট ডিলেট। কারন গত তিন বছর আমার সবচেয়ে খারাপ কেটেছে। সেগুলো ভুলে নতুন করে আবার শুন্য থেকে শুরু করতাম। এখনো মাঝে মাঝে মনে হয় নিজেকে ঢেলে সাজাই। কিন্তু শুরু করার আগেই আবার থমকে যাই। পিছুটানের ব্যাপারে আমি খুবই অগ্রমুখি। সবসময় অতীত নিয়ে চিন্তা করি। সত্যিই অতীত মানুষের পিছু ছাড়ে না। আমি বাক্সে বন্ধি হয়ে গেছি। বের হওয়া আর হল না। তবে আমি ফিরতে চাই। হতে চাই অসাধারন। আমাকে আবার নিজেকে নিয়ে ভাবতে হবে। আমি আজই শুরু করতে চাই। আমি জানি আমি পারব। তবুও হতাশ হই। আমি চেয়ে চেয়ে দেখি দাড়ি পরে যায় প্রতিটা গল্পের শুরুতে।
আরও পড়ুন>>>>>

বদলে যেতে চাই

৮:৫৫ PM Posted In Edit This 0 Comments »
গত কিছু দিন ধরে ভবিষ্যত নিয়ে খুব চিন্তিত। প্রোগ্রামার হওয়ার খুব ইচ্ছা। স্বিদ্বান্ত নিতে পারছি না। পিএইচপি, সি শার্প, নাকি জাভা দিয়ে শূরু করব। গত কয়েক দিন ধরে লিনাক্স ইউজ করার জন্য খুব প্রস্তুতি চলছে। মনটাও খুব ভালো নেই। মনে হচ্ছে গ্রহ চুত্য হয়ে যাচ্ছি। পড়াশোনা করতেও ইচ্ছে করতেছে না। গত কাল স্টিভ জবসের জীবনিটা পড়লাম। তিনি এপ্যালের প্রতিষ্টাতা। মাঝে মাঝে মনে হয় কোন এক মনিষি বা সফল কারো জীবণি বেছে নিয়ে তার মত হয়ে যাই। আবার ভাবি স্টিভ জবস ভার্সিটি ছেড়ে দিয়ে কত বড় এক ব্যাক্তিত্ব হয়ে গেলেন। সব ছেড়ে দিয়ে নিজের ভালবাসার কাজটি বেছে নেই। এই রকমও ভেবেছি অনেক বার।
আমার আশে পাশে ইন্সপায়ারেশন দেওয়ার মত কেউ নেই। আমার ফ্রেন্ডরা কিছু বুঝে না বললেই চলে। সারাক্ষন শুধু গালফ্রেন্ডকে খুশি করার চিন্তায় ব্যাস্ত। তাদের সুখি জীবনে হয়ত ভবিষ্যত ভাবার কোন প্রয়োজনই দেখা দেয়নি। ওদেরতো অনেক ভালো অবস্থা। কিন্তু আমারত তেমন না। সুতরাং ওদের সাথে তাল মিলালে চলবে না। আমাকে আমার মত হতে হবে। আমাকে অবশ্যই অসাধারন হতে হবে। আবার ভাবি এক কষ্ট করে এত পড়াশোনা করে কি হবে। মৃত্যুতো ওৎ পেতে আছে। মরে গেলেতো সব শেষ। একটু পর আবার ভাবি তাই বলে কি থেমে যাব। না। তাতো হয় না।
খুব ইচ্ছা আব্বাকে দেখাই আমার কষ্টের জীবনটা। তাহলে হয়তো আর কষ্ট করে এই শহরে আর পড়া শোনা করতে হবে না। কিন্তু যখনই আব্বা ফোন করে তখনই মন ভালো হয়ে যায়। আসলেই আব্বাকে অনেক ভালবাসি। তাই কিছু বলতে পারি না। একদিন ঠিকই বলব। হয়তো বলব না। জানি না কি হবে আমার।ইদানিং সিগারেট খাওয়াটা অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। জীবনটাকে অপচয় করে ফেলেছি। এখন আর ফিরার সময় নাই। তাই শুধুই কষ্ট পাই।
আরও পড়ুন>>>>>

সহজে বলে দেয়া কতগুলো কঠিন কথা

১:৩১ AM Posted In Edit This 0 Comments »
আমার এখন আর কষ্ট হয় না তোমার জন্য। সত্যি বলছি বুকের ভেতর আর কোন দীর্ঘশ্বাস জন্ম নেয় না। কিন্তু জান খুব নিঃসঙ্গ মনে হয় নিজেকে। মাঝে মাঝে তোমাকে আমার মনে পড়ে। যখন মনে পড়ে আমার সময় কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায়। কিছু স্মৃতি আমার চোখের সামনে ভাসতে থাকে। এরপর আমি তোমাকে আর ভাবি না, ভাবতে পারি না। অথচ একদিন এমন ছিলাম না আমি, সারাক্ষণই তোমাকে ভাবতাম। আমার ঐ চরম মূহুর্তগুলোতে একমাত্র অনুভূতি ছিলে তুমি।আমি তোমাকে ভাবতে চাইতাম না, জোর করে ভুলে থাকতে চাইতাম তোমাকে। কিন্তু পারতাম না। ভুলে যাবার প্রচন্ড চেষ্টা করে যতই আমি নিজের ভেতরে যত প্রবেশ করি, ঘুরে ফিরে চলে আমি ঠিক চলে যেতাম তোমার কাছে। তোমাকে নিয়ে আমার চারপাশে একটা বৃত্ত তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আমি সেই বৃত্তের মাঝে ঘোরপাক খাচ্ছিলাম। শত চেষ্টা করেও আমি সেই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারছিলাম না। অসংখ্য নির্ঘুম রাতে আমি ভেবেছি তোমার কথা, তোমার ফিক করে হেসে ফেলা হাসির শব্দের কথা, যে হাসির শব্দ আমাকে ভুলিয়ে দিত আমি বন্দী, আমি অসহায়। তোমাকে ভালবাসা অনেক বড় অপরাধ ছিল। আমি মেনে নিয়েছিলাম আমার ভাগ্য, যেমন করে মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকা প্রাণী মেনে নেয় তার চরম সত্য। আমি এখনো হয়তো তোমাকে ভালবাসি। আমি যতদুর যাই সরল রেখা দেখি আমার অন্তরে। তারপর বিন্দুর মত থেমে যাই শুধু অবস্থান নিয়ে কোন প্রকার গানিতিক প্রমান ছাড়া। এই কথাগুলো অন্তরেব অন্তস্থল থেকে উচ্চারিত হওয়া কিছু শব্দের প্রকাশ মাত্র। বিশ্বাস কর নন্দিনী ভালবাসার যে কি আনন্দ। সারা রাত জেগে যখন সকাল বেলা প্রচন্ড ঘুম আর মাথা ব্যাথা নিয়ে ভার্সিটি যাই ভাবি তোমাকে নীল আকাশে উরিয়ে দিলাম ঘুড়ির মত নাটাই সূতো ছাড়া। এখনতো আর সেই সময় নাই। প্রেমিকা এখন পাওয়া যায় বাজার দরে পতিতার মত। আমি প্রোফেশনাল হতে চাই না। আমি মুক্তি চাই। তবু তোমার জন্য কাঁদি। যখন রাস্তায় হাটি মনে মনে ভাবি তুমি আমায় দেখতেছ। অথবা মনে হয় তুমি আমার পাশে আছ। মাঝেমাঝে কল্পনায় আরও অনেক দূড় চলে যাই। না! আমি থমকে যাই। কারন এটা অর্থহীন।
আরও পড়ুন>>>>>

অতঃপর বলার কিছুই থাকেনা

১:১৩ AM Posted In Edit This 0 Comments »
"ব্যাস্ততা আমাকে দেয়না অবসর”।সব কিছুই কেম যেন হয়ে যাচ্ছে। আমি জানি না আমার কি কাজ। আমি সময়গলো কাজে লাগাতে জানি না। ঘুমিয়ে আর নেট ব্রাউজিং করে আমার সময় কেটে যায়। প্রতিদিনই কিছু না কিছু কাজ আগামি দিনের জন্য রেখে দেই। আমি কোন কাজই সময়ে করতে পারি না। আমার অলসতার জন্য জীবনে অনেক কিছুই হারিয়েছি। সেটা বুঝতে পারি কিন্তু সেই সীমাবব্ধতা থেকে মুক্তি মিলেনা কিছুতেই। প্রতিদিন বদলে যাওয়ার শপথ নেই। আবার সব কিছু ভুলে সেই আগের মত হয়ে যাই। সেই কল্পনায় বন্যতা আর শরীরে অলসতা নিয়ে আবার ছুটে যাই ব্যর্থদের অনূসরন করতে।মাঝে মধ্যে নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়। তখন চোখ বন্ধ করে দুই হাত বাড়িয়ে কারো অস্থিত্বের কল্পনা করি। না, কেই আসে না। আসার কথাও না। আসারতো নিয়মও নেই। সবাইতো ব্যার্থতাকে মাড়িয়ে যেতে চায়। কে কতটা পারে সেটা সে নিজেও জানে না। যখন দাড়ি পরার সময় এসে যায় তখন ভাবতে বসে শুরুর হিসাব। মিলে না সবার। কেউ আমার দলে চলে আসে আর কেউ সফল হয়।আমি খুজে দেখি আমার অতীত সঙ্গিরা কেমন আছে। আমিই আগের মত আছি বাকিরা হয় বদলে গেছে আথবা মরে গেছে। কিন্তু এই শ্রেনিতে কেউই আমাকে সঙ্ঘ দেওয়ার জন্য থাকে না। আমি আবার একা হয়ে যাই।
আরও পড়ুন>>>>>

মধুর যন্ত্রনা

১২:৫৩ AM Posted In Edit This 0 Comments »
আমি জানি সে আমার কথা বিশ্বাস করেনা । তবু যত্ন করে শাঁড়ি পরে। চুল বাঁধে ।...চোখে কাজল দিয়ে ছাদের রেলিং এর ধারে দাঁড়িয়ে থাকে । সে... অপেক্ষা করে । আমি কখনো যাই না । যাবার নিয়ম নেই । অর্থহীন ভালোবাসা আমাকে পিছু টানেনা । কারণ আমাকে তো আর দশটা সাধারন ছেলের মতো হলে চলবেনা । আমাকে হতে হবে অসাধারণ ।♥
আরও পড়ুন>>>>>

ভার্সিটি এবং আমার ব্যার্থতার সাতকাহন

১:১২ AM Posted In Edit This 0 Comments »
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ও জাহাঙ্গির নগর ইউনিভার্সিটিতে ট্রাই করে চান্স পাইনি। ২০০৮ সালের জুলাইয়ে ভর্তি হই দেশের অখ্যাত এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। অনেক স্বপ্ন নিয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হই। ভার্সিটির নাম ঢাকা ইন্টারনেশনাল ইউনিভার্সিটি। সূর্য হেলে পশ্চিমে দোলে। ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে সময়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। এখন বাড়ি ফিরার সময় হয়েছে। কিন্তু দেখা হয়নি কিছুই।( সব কিছু এখনি লেখা সম্ভব না। আশা করি সময় হলে আপডেট করব)যাহোক স্বপ্নের চারায় পানি দেয়ার মত কিছুই পাইনি। দেখি এবার নিজেকে কতটুকু সাহায্য করতে পারি। ভার্সিটি নিয়ে অন্তত ১০টা পোষ্ট লিখা যাবে। ব্যার্থতার সমস্ত সিড়ি এখানেই তৈরি হয়েছে। অনেক হাসি কান্না, তামাশা, প্রতারনা, আনন্দ, আর অনেক বেশী কষ্ট এই ভার্সিটি লাইফেই ঘটেছে। ভার্সিটির প্রিয় বন্ধুদের মধ্যে সাকিরুল ইসলাম, শাহীদুল ইসলাম, সন্জয়, ইয়াকুব, নিরন্জন, উজ্জল, সুজন আরো অনেক। ওরা অনেক হেল্পফুল। আমার বিভিন্ন সমস্যায় ওদের কাছ থেকে অনেক হেল্প পাই।
আরও পড়ুন>>>>>

নির্জন বিষন্নতা

১:০৯ AM Posted In Edit This 0 Comments »
আমি খুবই অস্থির একজন মানুষ। সারাক্ষন স্বিদ্ধান্তহীনতায় ভূগি। সবসময় হতাশা লেগেই আছে। আমি মাঝেমাঝে ইনসিকিউর ফিল করি। আমার কোন ডেস্টিনেশন নাই। সময় চলে যাচ্ছে প্রতিদিনের মত আজও। খুব খারাপ একটা দিন পার করলাম। আমার আলসেমিটা বোধ হয় কখনোই যাবে না। আমি সময়ের মূল্য দিতে পারছিনা। মানুষের সময়গলো নাকি অনেক মূল্যবান, কই…? আমি তো বেঁচে আছি এখনো আমার সময়েরতো মূল্য খুজে পাচ্ছিনা।আমার প্রতিটা দিন একই রকম কাটে। সকালে যখন ঘুম থেকে উঠি দেখি সূর্য উঠেছে। তখন মনে পরে আজ কেটে যাচ্ছে আরেকটা দিন। সূর্যাস্তের পর কখনো মনে পরে না আজ কোন নতুন কিছু পেয়েছি কিনা। এমন কি কষ্টগুলোও সেই আদিম আর বন্য। এভাবেই কাটিয়ে দেই আমার সময়গুলো। তবে মাঝে মাঝে নিজেকে খুব সুখি মনে হয়। ভেসে যেতে ইচ্ছে করে সমুদ্রে অথবা নিলিমায়। আমার হারিয়ে যেতে খুব ইচ্ছে হয়। আবার কখনো ইচ্ছে হয় সিনবাদের মত জাহাজের পাল উরিয়ে দেই। আমার বাস্তবতা আমাকে ফাঁকি দিলেও স্বপ্নগুলো আমাকে সারাক্ষন সঙ্গদেয়। আর আমি এভাবেই আনন্দ পাই প্রত্যেকটা সময়।
আরও পড়ুন>>>>>

আমার প্রিয় গান ও লিরিক

১:০০ AM Posted In Edit This 0 Comments »
আমি গান শুনতে খুব পছন্দ করি। হাবিব, তাহসান, তপু আরও অনেকের গানই শুনি। হিন্দি গানও আমার খুব পছন্দ। যা হোক আমার প্রিয় গানটি হলFive Hundred Miles -by The Brothers Fouryoutube link  এর জন্য ক্লিক করুন  
গানটির লিরিক: 
If you miss the train I'm on,
You will know that I am gone, 
You can hear the whistle blow a hundred miles.
A hundred miles, a hundred miles,
A hundred miles, a hundred miles,
you can hear the whistle blow a hundred miles.

Lord, I'm one, Lord, I'm two,
Lord,I'm three, Lord, I'm four,
Lord,I'm five hundred miles a way from home.
Away from home, away from home,
Away from home, away from home,
Lord, I'm five hundred miles away from home.

Not a shirt on my back,
Not a penny to my name.
Lord, I can't go back home this-a way.
This-a way, this-a way,This-a way, this-a way,
Lord, I can't go back home this-a way.

If you miss the train I'm on,
You will know that I am gone,
You can hear the whistle blow a hundred miles.
A hundred miles, a hundred miles,
A hundred miles, a hundred miles,
You can hear the whistle blow a hundred miles.
আরও পড়ুন>>>>>

কিছু ভাল লাগার জিনিস

১:১৬ AM Posted In Edit This 0 Comments »
প্রিয় বই 
- নৌকা ডুবি-> রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ( নৌকাডুবি তিন বার পরেছি। আরও অনেক বার পরার ইচ্ছে আছে। যারা বই পরাকে ভালবাসেন তারা একবার পরে দেখবেন। অসাধারন একটা উপন্যাস) 
-গড ফাদার-> মারিও পুজো ( কি বলব বিশাল এক বই। যত বার পরি ভাল লাগে। এই বইয়ের মাধ্যমে ইংরেজী লেখকদের বই পড়া শুরু। আমি জীবনেও এই বইয়ের কথা ভুলতে পারবনা। দারুন ওকটা বই। 
-লা মিসারেবল->ভিক্টর হুগো ( টাচিং একটা বই। অসাধারন। যত বার পড়ি কষ্ট পাই) 
প্রিয় লেখক 
- শরৎ চন্দ্র চট্রোপধ্যায় 
-কাজী নজরুল ইসলাম 
-হুমায়ুন আহমেদ 
অবসরে যা ভাললাগে 
-নেট ব্রাউজ 
-ঘুম 
-ভ্রমন 
প্রিয় খেলা 
-ক্রিকেট। ( অন্য কোন খেলাকে ক্রিকেটের ১০০০ ভাগের একভাগও ভাল লাগে না) 
প্রিয় দল 
-বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম 
-ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিম 
-ব্রাজিল ও পর্তুগাল ফুটবল টিম 
-ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ 
প্রিয় খেলোয়ার 
-ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো 
-কেভিন পিটারসেন 
-ডেনিয়েল ভেটরি 
-রিকার্ডো কাকা 
প্রিয় মুভি 
-টাইটানিক ( যতবার দেখি প্রতিবার মনে হয় আজই প্রথম দেখছি)-ব্যাচেলর 
-হাজার বছর ধরে 
প্রিয় নায়ক 
-লিওনার্দি দি কেপ্রিও 
-আমির খান 
-( কোন নায়িকাই ভালো লাগে না) 
প্রিয় গান 
-ফাইভ হান্ড্রেড মাইলস-> দি ব্রাদারস ফোর 
-সপ্নের চেয়ে মধুর-> হাবিব 
প্রিয় খাবার-ভাত ও ভাতের সাথে যে কোন কিছু। যা ছাড়া আমার একদম হয় না। 
-চানাচুর, ঝালমুড়ি, সিঙ্গারা, ফ্রাইড চিকেন আর সফট ড্রিংকস।
আরও পড়ুন>>>>>

কলেজের সংক্ষিপ্ত সময় ( এইচএসসি )

১২:৫৮ AM Posted In Edit This 0 Comments »

মুন্সি আজিম উদ্দিন কলেজেভর্তি হই ২০০৫ সালে। কলেজে খুব বেশী মজার স্মৃতি নেই। তবে কলেজের হোষ্টেলজীবনটা আজও মিস করি। বিশেষ করে স্যার যখন ঘুমিয়ে পড়ত তখন আমরা ছাদেআড্ডা দিতাম আর মাঝেমাঝে কার্ড খেলতাম। এনামুল, নুরে আলম, মাসুদ পারভেজ, কাউসার আমার খুব কাছের বন্ধু ছিল। ওদের সাথে এখনতেমনযোগাযোগ হয় না। আরআমার প্রিয় শিক্ষকের নাম আল আমিন। স্যার আমাকে খুব ভালবাসত আমিও। ওখনোস্যারের সাথে মাঝে মাঝে যোগাযোগ হয়। ২০০৭ সালে আমি এইচএসসিপরিক্ষাদেই।
আরও পড়ুন>>>>>

মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

৭:১৯ PM Posted In Edit This 0 Comments »
২০০০ সালের জানুয়ারী মাস। আমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম দিন। জানুয়ারী মাসে তখন হাড় কাপানো শীত পড়ত। চাঁদপুর জোলার মতলব থানার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম জমিলা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়। দিনক্ষন মনে নাই শুধু মনে আছে আমি ও আমার দুই কাজিন একসাথে গিয়েছিলাম ভর্তি হতে। যাহোক, যেদিন প্রথম ক্লাসে গেলাম সেদিন একটু দেরি করে ফেলেছিলাম। প্রথমে ইংরেজি ক্লাস ছিল। সংকর স্যার ছিলেন মাধ্যমিকের আমার প্রথম শিক্ষক। প্রথম প্রথম সব কিছুই অন্য রকম। সেদিন খুবই উপভোগ করেছিলাম।ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত এখানেই পড়াশোনা করি। সম্ভবত আমার জীবনের সবচেয়ে বড় স্মৃতিময় অধ্যায়। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত আমি স্কুলের হোষ্টেলে থেকে পড়াশোনা করি। হোষ্টেল জীবনের কথা আমি জীবনেও ভুলতে পারবনা। খুব খুব মজার ছিল সেই সময় গুলো। এখন সেই সময়গুলো খুবই মিস করি।আমি ২০০৫ সালে বিঙ্জান বিভাগ থেকে এসএসসি পরিক্ষা দেই। আমরা যখন পরিক্ষা দেই তখন আমাদের সময়গুলো খুবই দারুন ছিল। হোষ্টেল থেকে রিক্সা অথবা ট্রলারে করে পরিক্ষা দিতে যেতাম। ওহ......... সেই দিনগুলো কি দারুন ছিল। আজ আবার সেই দিনগুলো ফিরে পেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। জানি তা ফিরে পাওয়া সম্ভব না। তবু ও নষ্টালজিক আমি বারবার ফিরে পেতে চাই সেই সময়। আমার মনে হয় যদি আবার ভর্তি হতে পারতাম জমিলা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ে। মাধ্যমিক অধ্যায়টা আমার জীবনের শ্রেষ্ট সময়। ওই সময়ের বন্ধুদের মধ্যে বিভূতি, ইসরাফিল, হেলাল, মফিজুল ইসলাম, এনামুল এবং আরো অনেক। ওদের অনেক মিস করি। স্যারদের মধ্যে মনিরুজ্জামান স্যার, আবুল হাসেম, মোস্তফা স্যারের কথা খুব মনে পরে।
আরও পড়ুন>>>>>

প্রাথমিক বিদ্যালয়

৫:৫৩ PM Posted In Edit This 0 Comments »
খুব ছোটবেলার কথা তেমন একটা মনে নাই। ১৯৯৬ সালে আমি প্রখম বারের মত পড়াশোনার উদ্দ্যেশ্যে স্কুলে যাওয়া শুরু করি। এনায়েত নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে এক বছরের মত পড়াশোনা করি। প্রথম শ্রেনী এখানেই শেষ করি। দ্বিতীয় শ্রেনীতে আর পড়া হয়নি। সরাসরি তৃতীয় শ্রেনীতে ভর্তি হই রসুলপুর কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তখন ১৯৯৭ সাল। ১৯৯৯ সাল অর্থাৎ পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত এখানেই অবস্থান করি।রসুলপুর কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমার বেশ কয়েক জন বন্ধু ছিল। তাদের মাঝে যাদের কথা খুব মনে পরে: হেলাল, রাসেল,ইসরাফিল, ফয়সাল, আলো, রাজিব আরো অনেক। ওদের সাথে এখন অনেক কম যোগাযোগ হয়। আসলে সবাই নিজেকে নিয়ে খুব ব্যস্ত খাকে। হয়তো কাজ ও পড়াশোনার জন্য সময় বের করা যায় না বলেই এমন হয়।আমি খুব নষ্টালজিক। আমি ওদের অনেক অনেক মিস করি। আর অনেক ভালবাসি।এটা খুব ছোট একটা স্কুল ছিল। দুই জন শিক্ষক ও দুই জন শিক্ষিকা ছিলেন। হুমায়ুন কবির মিন্টু স্যার, বাবুল স্যার, ফাহমিদা ম্যাডাম, আরেক জন ম্যাডামের নাম মনে নাই। যখন গ্রমে যাই স্যারদের সাথে দেখা হয়। আমি স্যারদেরকে খুব ভালবাসি। আমার একটা ভাল গুন আছে। আমি এখন পর্যন্ত যত স্যারের কাছে পড়েছি সবাই বলত আমি ওনাদের সেরা ছাত্র ( সরা ছাত্র মানে মেধাবি না কিন্তু) । আমাকে সব স্যাররাই আদর করত। এসব দিনের কথা মনে পড়লে খুব ভাল লাগে। আমার থারাপও লাগে সেই স্বপ্নের দিন গুলো হারিয়ে।দিনগুলো মোর সোনার পাতায় রইল না,সেইযে আমার নানা রঙ্গের দিনগুলো।
আরও পড়ুন>>>>>

সেই দিন দেখা হয়েছিল

৩:৪৮ AM Posted In Edit This 0 Comments »
আমার এক বন্ধুআমরা মাধ্যমিকেএকসাথে পড়তাম। আজ অনেক দিন পর সে আমাকে জিঙ্গেস করল আমিকেমন আছি। তাকে বলতে পারিনাই সবাইতো ভাল থাকতে পারেনা। কেমন যেন বিরক্তিকর লাগলআজ। একটু আবেগও কাজ করলনা। সত্যি আমি আর নেই সে আমি। যাহোকতার একটা বাচ্চাহয়েছে। এখন সে পুরো দস্তুর গৃহিনি। তাকে বললাম স্রোতে বাসিয়ে দিয়েছি নিজেকে।কোন ডেসটিনেশন নাই। তবে একটা প্রবল চাওয়া আছেযেন ভাল থাকি সবসময়।
আরও পড়ুন>>>>>

আমার ব্যর্থ আত্ম-সম্মোহন

৬:০০ PM Posted In Edit This 0 Comments »
এখন প্রায়ই মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়। গলাটা যেন শুকনো কাঠ হয়ে যায় তবুও যেন পিপাসা পায় না। টেবিল থেকে হাত বাড়িয়ে পানির গ্লাসটা উঠিয়ে নেই। বিছানায় বারবার পাশ ফিরতে ইচ্ছে করে না। বেলকনিতে দাড়িয়ে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে চাঁদের দিকে। মাঝে মধ্য চাঁদটা আমায় ফাঁকি দিয়ে লুকিয়ে পরে দূরের দেবদাড়ু গাছের আরালে। আমার দীর্ঘক্ষনের নরবতা ভাঙ্গে রাত জাগা কোন পাখির ডানা ঝাপটানিতে।মাঝেমাঝে সন্ধ্যারাতে সোডিয়াম লাইটের আলোয় রাস্তায় হাটি। আশেপাশে তাকিয়ে দেখি, আমার মত মন খারাপ করা আর কোন মানুষ আছে কিনা। আশ্চর্য!!! সবাই কত ব্যস্ত। একাই আমি আবার হেটে চলি অজানার উদ্দ্যেশ্যে।কখনো রেললাইনের পথ ধরে হেটে চলি চারু কলা কিংবা বদ্ধ্যভুমিতে। শহীদ মিনারের পাশ দিয়েও হেটে চলি একাকি। আর মনেমনে প্রতিঙ্ঘা করি ওই অহংকারি মেয়েটির জন্য আমি আর মন খারাপ করে থাকবনা। আজ থেকে আমার কোন কষ্ট নেই। আমি আর কোন কষ্ট পাব না।ব্যর্থ হয় আমার আত্ম-সম্মোহন। একরাশ না পাওয়ার কষ্টে আচ্ছন্ন হয় আমার অনিয়ত্রিত মনটা। আমি আবার ভাবতে থাকি। গড়তে থাকি আরেকটা সপ্ন। অতঃপর আবার মন খারাপ করে থাকি।
আরও পড়ুন>>>>>

আমার প্রিয় ভুলগুলো।

২:৪২ PM Posted In Edit This 0 Comments »
আমার ব্যাক্তিগত জীবনে ভূলের হিসাব করতে গেলে আমি নেহাত বিপদেই পরে যাব। মাঝে মাঝে মনে হয় আমি যা করেছি তার বেশীর ভাগই ভুল। কখনো কখনো মনে হয় যদি আবার শুন্য থেকে শুরু করতে পারতাম। তবে আর একটাও বাজে কবিতা লিখতাম না, ঘুমিয়ে সময় নষ্ট করতাম না এক বিন্দুও….সবার সঙ্গে হেসে হেসে কথা বলতাম।আমি কিন্তু রাগিনা, তবে ভীষন অভিমানি। আশেপাশের সবার উপর আমার আমার অভিমান হয়। তবে কাউকে বুজতে দেইনা। নিজের কষ্টকে নিজের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখি। তবে আমি কিন্তু দুঃখিনা দারুন সূখি মানুষ। যখন ছোটখাটো ব্যাপারে মন খারাপ হয় তখন অভীমান দানা বাঁধে। তখন ভাবতে বসি আথবা লিখতে। নিজের কষ্টগুলোকে অনুবাদ করি কবিতার ভাষায়। আথবা গিটারের টুংটাং শব্দে দূরের মেঘের আরালে হারিয়ে যায় আমার বিষন্নতা।সব সময়ই আমার মনে হয় আমি কিছুই পারি না। মনে হয় কেন যে আগে থেকে সব কিছু শিখে রাখলাম না। তাহলে আর এত ব্যর্থ সময় পার করতে হত না। তাই সবার প্রতি আমার অনুরোধ আগে থেকে সব কিছু শিখে রাখবেন।
আরও পড়ুন>>>>>

আমি কেন যেন এই রকমই

১২:৩৭ AM Posted In Edit This 0 Comments »
আমার পরিচয় বলতে এতটুকুই, সবই আমাকে আল আমিন বল ডাকে। এটাই আমার নাম। আমি গল্প করতে, পড়তে ও লিখতে ভালবাসি। মাঝেমধ্যে কবিতাও লেখি। আমার বেশীর ভাগ সময় কাটে দুঃশ্চিন্তা করে। মনেমনে তাজমহল ও বানাই। আবার আফগানিস্তান স্বাধীনও করি। আমি খুব কল্পনা বিলাসী। মাথার মধ্যে সবসময় বিভিন্ন চিন্তা গুরপাক খায়। অবসরে গান শুনি, নেট ব্রাউজ করি, চেটিং করি, মাঝে মাঝে ঘুরতে রের হই। আর সমুদ্র আমার খুব প্রিয়। বিকেল বেলা নদীর ধারে একলা বসে থাকতে ভাল লাগে। বন্ধুরা আমার খুব প্রিয় হলও আমি তাদের কাছ থেকে দুরে থাকি।আমি খুবই অন্তর্মুখি। কখনো আবার বেশী কথাও বলি। সাধারনত উপযাচক হয়ে কথা বলি না। বেশীর ভাগ সময় বাসায় কাটাই। চা, সিঙ্গারা, ঝাল মুড়ি ও চানাচুর খুব প্রিয়। মাঝে মাঝে রান্না করতেও ভাল লাগে। আর কী বলব। আই হেট লাভ স্টোরিস। মেয়েদের প্রতি আগ্রহ আছে কিন্তু আসক্তি নাই। aND tHAT'S iT.
আরও পড়ুন>>>>>